সংগঠন সম্পর্কে জানুন


“একতা যুব সমাজ কল্যাণ পরিষদ” সংগঠনটি একটি অরাজনৈতিক অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসাবে সমাজ উন্নয়ন কাজ করে।  জনগনের সুযোগ সুবিধা বজায় রাখার পাশাপাশি সমাজের পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও উন্নয়নসহ বহুমুখী স্বকর্ম সংস্থান মূলক কর্মসূচী গ্রহন করে । সমাজ উন্নয়নে বৃহত্তর জনগোষ্ঠির ব্যাপক অংশগ্রহনের ভিত্তিতে এলাকার তথা সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করায় সংগঠনটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

“একতা যুব সমাজ কল্যাণ পরিষদ” সামাজিক সংগঠন, এলাকার ইসলামী জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রতি বছর তফসীরুল কোরআন মাহফিল আয়োজন করা। এলাকার আর্থ- সামাজিক অবস্থার কাঙ্খিত পরিবর্তন সাধনের জন্য স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের মাধ্যমে আত্ন-নির্ভরশীল সুখী ও সমৃদ্ধশালী অবক্ষয়মুক্ত সমাজ গঠন করা। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া সমাজের অনগ্রসর নারী- পুরুষের আর্থ- সামাজিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তনে সমন্বিত প্রচেষ্টায় উন্নয়ন কর্মসূচি বা প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন কাঠামো সংস্থার উদ্দেশ্যের আলোকে নির্ধারণ করা হবে। ইহা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সামাজিক উন্নয়নমুলক, সাংস্কৃতিক ও সেচ্ছায় মানব সেবার সংগঠন।

যোগাযোগ

গ্রাম- পূর্ব মোহাম্মদ পুরা

ইউনিয়ন- চাকমারকুল

উপজেলা- রামু

জেলা- কক্সবাজার

দেশ- বাংলাদেশ।

মোবাইল নং-

email : akotaislami@gmail.com


নীতিমালা

১। সংস্থার নামঃ একতা যুব সমাজ কল্যাণ পরিষদ 

২। স্থাপিত- ২০০১ ইং (দুই হাজার এক) ইংরেজী। 

৩। প্রধান কার্যালয়ঃ  র্পূব মোহাম্মদ পুরা, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে।

৪। উদ্দেশ্য  লক্ষ্যঃ

উদ্দেশ্যঃ মূখ্য উদ্দেশ্য হল প্রতি বছর তফসীরুল কোরআন মাহফিল আয়োজন করা।  সামাজ  মানুষের উন্নয়নে এই সংস্থাটি কাজ করা।

লক্ষ্যঃ সোনালি প্রভাতের লক্ষ্য হচ্ছে অসহায়  দরিদ্র মানুষের সেবার মাধ্যমে সুন্দর  সুখী সমাজ গড়ে তোলা। যে সমাজে থাকবে না অসহায় মানুষের আর্তনাদআর্থিক অভাবের কারনে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের ঝরে পড়া এবং চিকিৎসার অভাবে অকাল মৃত্যু  অর্থাৎআমাদের সাধ্যের মধ্যে অসহায়  দারিদ্রের সার্বিক সহযোগিতা করা। এছাড়াও ভবিষ্যতে শিক্ষা প্রসারের সাথে সাথে  বেকার যুবকদের জন্যে কর্মসংস্থান গড়ে তোলার কর্মসূচি হাতে নিব ইনশাআল্লাহ 

৫। সদস্যপদ  নিয়মাবলিঃ

()  দুঃখী-দরিদ্র মানুষের সেবা করার মানসিকতা থাকতে হবে।

( পরিচালনা কমিটি  মিটিং আহ্বান করা হবে আর এই মিটিং- উপস্থিত থাকতে হবে।

(সংগঠন কর্তৃক মাসিক ধার্যকৃত চাঁদা জমা দিতে হবে।

()সংগঠনের সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালিত হয়।


(সদস্য হওয়ার উপায়ঃ-

সদস্য ফরম সংগ্রহ করে তা যথাযথ পূরণ করে জমা দিতে হবে অথবা অনলাইনে থেকে পূরণ করে নিতে হবে।

(সদস্যপদ বাতিল হওয়ার কারণসমূহঃ-

(কোন সদস্যের নামে যদি সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের যথার্থ প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তার সদস্য পদ বাতিল গণ্য হবে।

(যদি কোন সদস্যের  মাসের চাঁদা বকেয়া থাকে তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে।

(   টি মিটিং- অনুপুস্থিত থাকিলে পরিচালনা কমিটি আলোচনা না করলে অন্যথায় সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে 

(সংগঠনের স্বার্থের পরিপন্থী কোন কর্মকান্ডের জড়িত হলে।

( )   কোন সদস্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে

(বাতিলকৃত পদ পুনর্বহাল- করনীয়ঃ

(সভাপতির নিকট বাতিলকৃত পদের পুনর্বহালের জন্যে আবেদন করতে হবে সেই সাথে জবাবদিহিতার লিখিতও দিতে হবে।

এখানে উল্লেখযোগ্য যেআবেদনটি সংগঠনের বিশেষ সভার মাধ্যমে বিবেচিত হবে এবং বকেয়া থাকলে তা পরিশোধ করতে হবে।

 (১০সদস্য ব্যতীত অন্য ব্যক্তিদের অর্থদান প্রসঙ্গেঃ-

এমন কোন ব্যক্তি যিনি সংগঠনের সদস্য নয় তার দানকৃত অর্থ গ্রহণ হবে যদি উক্ত দান তা স্বত্তনিঃস্বার্থ  নি;শর্ত ভাবে হতে হবে।

১১। সংস্থার তহবিল সংক্রান্তঃ-

সংস্থার একটি মাত্র তহবিল থাকবেযা একটি ব্যাংকে চলতি হিসাব নামে থাকবে।

সংস্থার সকল লেনদেনকার্যবিবরনি  বার্ষিক আয়ব্যয় এর হিসাব বার্ষিক সভায় পেশ করতে হবে।

তহবিলের লেনদেন নির্দিষ্ট যে কোন নূন্যতম  জনের সাক্ষরে হতে হবে 

১২।। সভা অনুষ্ঠানঃ

(প্রতি মাসে নির্বাহী  সাধারণ সদস্যদের নিয়ে একটি সভা হবে।

প্রতি মাসে সম্ভব না হলে  মাস অন্তর অন্তর সভার আয়োজন করতেই হবে।

   

(১৩)সাংগঠনিক কাঠামোঃ-

এই সংস্থাটি  স্তর বিশিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। যথাঃ-

 (নির্বাহী পরিষদ 

(সদস্য 

 

নির্বাহ পরিষদের গঠন প্রকৃতিঃ

১। সভাপতি - জন

২। সহ সভাপতি - জন

৩।সাধারণ সম্পাদক - জন

৪। অর্থ সম্পাদক- ০১ জন।

৫। উপ-অর্থ সম্পাদক- ০১ জন

৫। সাংগঠনিক সম্পাদক  - জন

৬। ক্রীড়া সম্পাদক - জন

 

সর্বমোট  জন 

নির্বাহ পরিষদের কাজঃ-

সাধারণ সভা  অন্যান্য সভার আহ্বান করবে 

বিষেশ প্রয়োজনে সভাপতির আহ্বানে জরুরী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে 

সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত সভাপতি  সাসম্পাদকের সাক্ষরে বাস্তবায়িত হবে।

.  নির্বাহি পরিষদে সংঠনের যাবতীয় কার্যাবলির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদানকারি  নীতি নির্ধারক বলে বিবেচিত হবে।

নির্বাহী পরিষদ দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতিক্রমে সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যের সাথে সংগতিপূর্ন গঠনতন্ত্রের সংশোধন,পরিবর্তনপরিবর্ধন  সংযোজন করতে পারবে 

সংগঠনের বার্ষিক আয়-ব্যয় এর হিসাব পরিক্ষা-নিরিক্ষা  অনুমোদন করবে।

সার্বিক উন্নয়ন  আয় বৃদ্ধির জন্য কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করবে।

বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সদস্যদের নির্দেশ প্রদান করবেন।

সভাপতির দায়িত্বঃ

সংগঠনের প্রধান বলে বিবেচিত হবেন।

সভার সভাপতিত্ব করবেন।

সংগঠনের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে থাকবেন।

সংগঠনের স্বার্থে  কল্যানে যেকোনো দায়িত্ব পালন করবেন।

বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী সভার আহ্বান করবেন।

সভা পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন 

সহ-সভাপতির দায়িত্বঃ

সভাপতির সকল কাজে সাহায্য করবেন।

সভাপতির অনুপস্থিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন 

নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।

সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বঃ

সকাল প্রকার যোগাযোগচিঠি লেখা  চিঠিপত্র ইস্যুতে সাক্ষর প্রধান করবেন।

সংগঠনের কর্মসূচীকার্যক্রমপ্রকল্প প্রস্তাবনা প্রনয়ন করবেন।

সকল প্রকার কাগজপত্রদলিল  তথ্যাদি রক্ষানাবেক্ষন করবেন।

সকল প্রকার বিলভাউচার  লেনদেন পরীক্ষানিরীক্ষা করবেন।

প্রসাসনবাজেট তৈরিপ্রকল্প প্রনয়ন এবং কার্যক্রম বাস্তবায়নে সাহায্য করবেন।

নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।

সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বঃ

সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

সংগঠনের কার্যক্রমে স্থিরতা দেখা দিলে তা নির্ণয় করে সভাপতি  সাসম্পাদকের সাথে কথা বলে সমাধান করতে হবে।

সংগঠনের সভায় বা কার্যক্রমে  সদস্যের অনুপস্থিতিসংগঠনের স্বার্থ বিরুধী কাজ নির্নয় করে তা সভায় পেশ করবে।

প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বঃ

সকল প্রকার প্রচার  প্রসার করবে।

প্রয়োজনে সংবাদ সম্বেলন করবে।

সংগঠনের সকল প্রকার প্রকাশনার ডিজাইন  প্লান করবেন।

#  অন্যান্যঃ

সংগঠনের সকল বিপদেআপদে নির্বাহি পরিষদসহ সবাই পাশে থাকবে।

সংগঠনের সকল সদস্যদের সংগঠনের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন।

নির্বাহি পরিষদসহ সকল সদস্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবেন 

কোন অভিযোগ বা পরামর্শের জন্য নির্বাহী পরিষদের সাথে যোগাযোগ করবেন।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.